এবার বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে সাগরে ফেলা ত্রাণ আনতে গিয়ে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি পানিতে ডুবে গেছেন। গতকাল সোমবার ২৬ মার্চ বেঈত লাহিয়া উপকূলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্যারামেডিকরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তারা একটি ভিডিও পেয়েছে। সেটিতে দেখা গেছে, সাগরে ত্রাণ ফেলার পর সেগুলো আনতে দৌড়াদৌড়ি করছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ডুবে যাওয়া মানুষদের উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে এবং তাদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে আবু মুহাম্মদ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ত্রাণগুলো উপকূল থেকে অনেক দূরের সমুদ্রে ফেলা হয়েছিল। এরপর সাঁতার না জানা অনেক পুরুষও সেগুলো নিতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তিনি বলেছেন, “ওই সময় শক্তিশালী স্রোত ছিল এবং সব প্যারাসুট পানিতে পড়েছিল। মানুষ ক্ষুধার্থ। তারা খেতে চায়। আমি কিছুই পাইনি। যারা তরুণ তারা দৌড়ে গিয়ে এসব ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু যাদের একটু বয়স বেশি তাদের জন্য গল্পটা অন্যরকম।”
আবু মুহাম্মদ আরও বলেছেন, “আমরা সবগুলো স্থলপথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের অপমানজনক পদ্ধতি মানা যায় না।” এ মাসের শুরুতে গাজা সিটির আল শান্তি ক্যাম্পে বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে পাঁচজন নিহত ও ১০ জন আহত হন।
ওই সময় দাতব্য সংস্থাগুলো জানায়, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা কোনো কার্যকরী পদ্ধতি নয়। মানুষের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হলে সেগুলো স্থলপথে পাঠাতে হবে। গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর দখলদার ইসরায়েল গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সূত্র: সিএনএন